মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান এবং এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
করোনা ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ এর সংক্রমণ ঠেকাতে চীনসহ চার দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে বিশেষ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না তা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোভিডের বিষয়ে আমরা অবহিত করেছি, যেটা গতকাল সচিব সভায় আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেটাই আজ মন্ত্রিসভা ও প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অবহিত করেছি।’

তিনি বলেন, করোনার নতুন ধরন মোকাবিলায় সরকারের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে |করোনা মোকাবেলায় আমাদের প্রথম পদক্ষেপ আমরা যেটা নিয়েছি সেটা হলো আমাদের বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দর যেগুলো আছে সেগুলোতে, যে দেশগুলোতে বিশেষ করে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেখা যাচ্ছে সে দেশের নাগরিক যারা বাংলাদেশে আসবেন তাদের পৃথকভাবে পরীক্ষা করে তবেই বাংলাদেশে ঢোকানো হচ্ছে ।’
করোনা মোকাবেলায় গতকাল এ নির্দেশনা জারির পর ঢাকায় বিমানবন্দরের চারটি বুথে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং চারজন ব্যক্তি কে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। আমরা ইমিডিয়েট অ্যাকশনে চলে গিয়েছি এবং কাজ শুরু করেছি। এটা ছিলই, প্রকোপ কমে যাওয়ার কারণে বন্ধ ছিল এগুলো আবার চালু করছি।’
করোনার নতুন ধরন মোকাবিলায় সরকারের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে|করোনা মোকাবেলায় আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ যে বাইরে থেকে না (করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা ) আসতে পারে। মূলত চারটি দেশের (করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে) এখন পর্যন্ত আমরা তা জানি। এরমধ্যে চীন আছে। তবে অন্য দেশগুলোর নাম এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’
এছাড়াও আমাদের করোনার চতুর্থ ডোজের টিকা চলছে। আবার যদি এ রকম পরিস্থিতি হয় তাহলে আমাদের প্রচুর হাসপাতালে হাইফ্লো অক্সিজেনসহ লাইফ সাপোর্ট ইকুয়েপমেন্ট আছে আরো রয়েছে প্রশিক্ষিত নার্স ও ডাক্তার রয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমি মনে করি প্রস্তুতি আমাদের যথেষ্ট আছে , আমরা আপাতত করোনা প্রতিরোধের বিষয়টি বেশি দেখছি। নিশ্চয়ই ওই রকম পরিস্থিতি হলে আমরা করোনা মোকাবিলার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বো।’