রাত ১২টায় রাজধানীর নিউ মার্কেট পদচারী সেতুতে বসে আছেন , মোহাম্মদ রোমান মিয়া এবং চারপাশে জ্বেলে রেখেছেন মশার কয়েল কোয়েল এর ধোঁয়ায় তাঁর মুখ ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না।
তাকে দেখা মনে হলো তিনি খুব বিরক্ত। তাঁর কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই আমরা জানতে পারলাম তার বিরক্তির কারণ। তিনি বিড়বিড় করে বলেছেন, ‘মশার জ্বালায় বসা যাইতাছে না এখন কয়েলেও কাজ হয় না।
ঢাকার শহরে দ্রুত মশা বেড়েছে কয়েলেও কাজ হয় না , আরো একই সমস্যার কথা জানালেন বাংলামোটর এলাকার চা বিক্রেতা মোহাম্মদ নূর । তিনি আরো বলেন,‘দিন-রাত সারাক্ষণই মশা। আমি দুইটা কয়েল সারাক্ষণ জ্বেলে রাখি। সিটি করপোরেশন থেকে কয়েক দিন পর পর মশার ওষুধদিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু মশা কমে না ওষুধ দিলে দেখা যায় সর্বোচ্চ আধাঘণ্টা মশা থাকে আবার এরপর সেই আগের অবস্থা। ’

the mosquito
এ হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মশার উৎপাত। উত্তর সিটিতেও উপদ্রব কম নয় ঢাকা তেজগাঁও এলাকার নৈশপ্রহরী মোরশেদ বলেন, সারা রাত কোয়েল ধোঁয়া দিলেও কমে না আমাদের হাতে কাইচ্ছা ফেলতে হয়। ঢাকার শহরে দ্রুত মশা বেড়েছে কয়েলেও কাজ হয় না আরো ঝাঁকে ঝাঁকে আইসা শরীরে বসে। সিটি করপোরেশন থেকে কী ওষুধ দেয়, আল্লাহ জানে
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন , নভেম্বর থেকে জানুয়ারি হলো কিউলেক্স মশার পিক টাইম। ড্রেন, ডোবা, নালা, খাল, বিল,ময়লা পানি
এসব মূলত মশার প্রজননস্থল। এছাড়াও দীর্ঘ সময় জমে থাকা আবর্জনা থেকে মশা জন্মাচ্ছে। তাই যতই ওষুধ ছিটানো হোক না কেন, এসব জায়গা গুলো পরিষ্কার করা না হলে মশা কমবে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন মশার ওষুধ মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের , আগে তা সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপর প্রয়োগ করা হয়। ৯৮ শতাংশ কার্যকারিতা নিশ্চিত করে , আমরা মশা মারার ওষুধ প্রয়োগ করে থাকি , সুতরাং ওষুধ নিয়ে বিতর্ক করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের এই ওষুধ সম্পূর্ণ কার্যকর।