আন্তর্জাতিক
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ হাজার ছাড়ালো

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ হাজার ছাড়ালো
সাম্প্রতিক তুরস্ক ও সিরিয়ায় সময় যত গড়াচ্ছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে আসিতেছে । যদিও সে খানে আশা ছাড়ছেন না নিখোঁজ মানুষদের নিকট স্বজন ও উদ্ধারকারীরা।কিন্তু হঠাৎ করে কিছু ঘটনা তাঁদের এ আশা যেন তাদের অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে। তেমনই একটি ঘটনা ঘটিয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার।প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে আতঙ্ক আর হতাশা এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা । কাউকে কোনো রকমে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছেনা । ভূমিকম্পের পর ৭৯ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিল দুই বছরের বয়সী এক শিশু। অবশেষে শিশুটিকে জীবিত বলে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে উদ্ধারকারীরা মাধ্যম এ সেখানে একজন উদ্ধারকর্মী তার মুঠোফোনে ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করেন। সেই ভিডিও পরে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের আন্তাকায়া সিটিতে । কিন্তু সোমবার সকালে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শহরের এটি একটি । ভূমিকম্পের ফলে শহরটিতে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিহতদের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার জন হওয়ার কথা জানিয়েছেন । অন্যদিকে সিরিয়ার নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েসে ২ হাজার জন। সব মিলিয়েই দুই দেশের মোট নিহত সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়ালো

ভূমিকম্পে দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তা আশংকা করছে । তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মানচিত্র ঘটনাটিতে দেখা গেছে,এসব এলাকায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষদের বসবাস । ভূমিকম্পের কারণে সেখানকার মানুষ সবাই কোনো না কোনোভাবেই সংকটে পড়েছিলেন । দুই দেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে।
তবে দক্ষিণ তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ায় বিধ্বংসী এক ভূমিকম্পে নয় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর পর সেখানে আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রচেষ্টা জোরদার করা হচ্ছে।