সবজির মধ্যে ফুলকপিতে আছে অনেক পুষ্টি। অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যেমন ব্রাসিকেসি পরিবারভুক্ত ব্রাসিকা অলেরাসিয়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, ফোলেট, ভিটামিন ‘কে’ এবং ফাইবার। গ্লুকোসিনোলেটস নামক সালফারযুক্ত রাসায়নিকও রয়েছে ফুলকপিতে।
ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’, ‘কে’, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক।[৩] একটি মাঝারি আকারের ফুলকপিতে রয়েছে শক্তি-২৫ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট-৪.৯৭ গ্রাম , প্রোটিন-১.৯২ গ্রাম , ফ্যাট-০.২৮ , আঁশ-২ গ্রাম, ফোলেট-০.৫৭ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন-০.৫০ মাইক্রোগ্রাম, থায়ামিন-০.০৫ , প্যানথানিক এসিড-০.৬৬৭ মাইকোগ্রাম।[৪] ফুলকপি পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি।এর পাতার উপরিভাগে ক্যানসার নিরোধক উপাদান ফুলকপি খাওয়া ভালো, তবে কারো কারো জন্য খারাপও হতে পারে।

ফুলকপি
প্রথমেই স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জেনে নিই। ফুলকপি সবজিটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এ কারণে স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। ফুলকপির পুষ্পাক্ষ অর্থাৎ সাদা অংশটুকুই খাওয়া হয় আর সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁট এবং পুরু, সবুজ পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করা হয় অথবা ফেলে দেওয়া হয়।
ফুলকপি রান্না বা কাঁচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়, আবার এটি দিয়ে আচারও তৈরি করা যায় অতিরিক্ত পরিমাণে ফুলকপি সবজি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। কারণ এই সবজি হজম করা খুব কষ্টকর। এছাড়াও যখন এটি কাঁচা খাওয়া হয়। ফলে পেট ফুলে যাওয়া বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
ফুলকপির ক্ষতিকর দিক
প্রায় সব মানুষই ফুলকপি পছন্দ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সবজিতে রাফিনোজ নামক একটি পদার্থ রয়েছে। যেটি এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট। প্রাকৃতিকভাবেই এই কার্বোহাইড্রেট কিছু সবজিতে উপস্থিত থাকে। সমস্যা হলো, এই কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীর ভাঙতে পারে না।
ফুলকপি যাদের জন্য খাওয়া ঠিক নয়

ফুলকপি
আপনি যখনই এই কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ সবজি গ্রহণ করলেন, এরপর সেটি ছোট অন্ত্র থেকে বড় অন্ত্রে চলে যায়। সব শেষে যখন তারা বৃহৎ অন্ত্রে প্রবেশ করে, তখন সেখানে থাকা ব্যাকটেরিয়া এটিকে গাজনপ্রক্রিয়া শুরু করে। এর পরেই পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। ফলে পেট ফুলে যায়।
কাদের জন্য ফুলকপি খাওয়া ঠিক নয়

ফুলকপি
থাইরয়েডের সমস্যা যাদের আছে তাদের জন্য ফুলকপি ক্ষতিকর। কারণ এতে টি-৩ এবং টি-৪ হরমোন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে বলে জানা যায়
ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে বেশি পরিমাণে খেলে রক্ত ধীরে ধীরে ঘন হতে থাকে। এতএব, যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফুলকপি খেলে ভালো হয় ।
এছাড়াওযে মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান, তারা ফুলকপি এড়িয়ে চললে ভালো।
ফুলকপি যাদের জন্য খাওয়া ঠিক নয় প্রায়ই যদি কাঁচা ফুলকপি খান, তাহলে জেনে রাখুন, কাঁচা ফুলকপিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। হজমের সমস্যায় ভুগলে সব সময় রান্না করা ফুলকপি খাওয়ার চেষ্টা করুন যা হজমের সমস্যার সমাধান হবে ফুলকপি সিদ্ধ করলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রায় নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফুলকপি সবজিটি সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।